মেঘগুলো সব ভারমুক্ত বাষ্প অভিলাষে
ঝুম ঝুম কিংবা ঝর ঝর ঝর। কখনও টিপ্ টিপ্ টিপ্। জলের শব্দ। জল ঝরার শব্দ এক আবেশে জড়ায় আমায়। চিরকাল। ভালোলাগার স্পর্শে হঠাৎ হারাই... নিজের মাঝে... গহীন আমিতে। রাস্তা ধীরে ধীরে ভিজছে। জল ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি নাম এ নামছে। হাঁটতে হাঁটতে ছোট্ট জল ফোঁটা বড় বড় হয়ে নামে আর তারপরেই – মেঘগুলো সব ভারমুক্ত বাষ্প অভিলাষে।
প্রজাপতিরঙ মন উন্মত্ত, উন্মনা। অজানা ভালোলাগা। রাস্তায় খানা-খন্দ, এ শহরের ভাঙা পথে প্যাঁচপ্যাঁচে কাদা। এক যুবতী স্নিগ্ধতাকে দুমড়ে মুচড়ে বুড়ো-বুড়ো বিরক্তিতে ভরপুর। নীলক্ষেত বইয়ের দোকানের সামনে যেন মরণ-ফাঁদ। এতো বড় গর্ত! হাঁটার জায়গাটুকোয় বিরক্তি-বীভৎসতা-কটুক্তিসহ নিরস মানুষেরা। অথচ কী অদ্ভুতভাবে কাদা পায়ে জড়ানো মূহুর্তে দারুণ স্নিগ্ধতায় ডুবে যাই আজ।
অলি-গলি তখন থকথকে কাদা আর পানি সর্বস্ব। থপথপ পায়ে হাঁটা সুন্দরবন ক্যুরিয়ার সার্ভিস – নীলক্ষেতের ঘুপচি কোণে। সখীসমীপেষু – চিঠি পৌঁছে যাবে ঠিক। মানুষ দেখার খেলাটুকু বরাবরই বেশ উপভোগ্য। খাম হাতে পাঁচ-ছ’জন। একজন সবার শেষে এসেও আগে পোস্ট করতে চাওয়ায় কথার উপর কথা, কথা দিয়ে কথা কাটা। কী ব্যস্ততা, কী তাড়া সবার।
আমি শুধু খামগুলো দেখি। গুটি গুটি হাতের লেখা, কোনটায় লেখাগুলো বড্ড এলোমেলো। কিছু হয়তো পৌঁছে যাবে কাঠখোট্টা কোন অফিসে-দফতরে। কিছু চিঠিতে বোধহয় মন আলপনা এঁকেছে। এমন অন্য কোন বৃষ্টিভেজা দিনে কেউ হয়তো আনমনে খুলে নেবে খয়েরী-হলুদ খাম।
ঘরে ফেরার তেমন তাড়া কোনকালেই থাকেনি তেমন, তবুতো ঘরেই ফেরা। স্নাঙ্ঘরে স্বয়ম্ভরের সুর। থেকে থেকে মনে অদ্ভুত গুণগুণ। দোল দোল, দোল খায় প্রিয় শিহরণ!
জানালার ওপারে মেঘ মেঘ ধোঁয়াশা। বটগাছের ওপ্র নিকষ আঁধার। ঘোর লাগা মনে ঔদাসীন্য ভর করে। আমাদের মানুষেরা বেঁচে-বর্তে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠে। আমাদের মানুষেরা আকাশের রঙ দেখতে ভুলে যায়। শুধু শূন্যতাই দেখে। আমাদের মানুষেরা বুড়িয়ে যেতে এতো ভালোবাসে ??
বৃষ্টি তবু এ শহরেও আসে। নোংরা ভাঙা শহরের বাসস্টপে, অলি=গলিতে, কলেজে-স্কুলে-ভার্সিটিতে। বৃষ্টি আসে চাচীর চায়ের ঠেলাতে, যে ঠেলার পাশে অস্থির ছেলে-মেয়ের আড্ডা বসে। বৃষ্টি আসে পথের ধারের ভাপা পিঠার উনুনের ওপর। মামা চটজলদি পিঠা উঠোয়, উনুন নেভোয়। বৃষ্টির ফোঁটা পড়তেই পথের ধারে হামাগুড়ি দেয়া উলঙ্গ শিশু ফিক করে হেসে ওঠে। ব্যবসা গুটোতে গুটোতে আয়না-চিরুণী-হাতঘড়ি বিক্রেতা বলেন- “আহ্! জব্বর বৃষ্টি আইবোরে!”
ক্ষতির যন্ত্রণাকে কষ্টকে প্রকৃতি গ্রাস করে কত সহজেই।
মেঘ খন্ড খন্ড দামাল উদ্দামতায় আকাশের একোণ থেকে ওকোণ দাপড়ে বেড়ায়। পাগল করা বাতাস ছুঁয়ে যায় সমস্তটুকু। হয়তো কিছু মানুষ ধুপ ধাপ জানালা লাগায়। কেবল কয়েকজন জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে মাতাল থেকে তীব্র মাতাল হয় ক্রমশ…
প্রজাপতিরঙ মন উন্মত্ত, উন্মনা। অজানা ভালোলাগা। রাস্তায় খানা-খন্দ, এ শহরের ভাঙা পথে প্যাঁচপ্যাঁচে কাদা। এক যুবতী স্নিগ্ধতাকে দুমড়ে মুচড়ে বুড়ো-বুড়ো বিরক্তিতে ভরপুর। নীলক্ষেত বইয়ের দোকানের সামনে যেন মরণ-ফাঁদ। এতো বড় গর্ত! হাঁটার জায়গাটুকোয় বিরক্তি-বীভৎসতা-কটুক্তিসহ নিরস মানুষেরা। অথচ কী অদ্ভুতভাবে কাদা পায়ে জড়ানো মূহুর্তে দারুণ স্নিগ্ধতায় ডুবে যাই আজ।
অলি-গলি তখন থকথকে কাদা আর পানি সর্বস্ব। থপথপ পায়ে হাঁটা সুন্দরবন ক্যুরিয়ার সার্ভিস – নীলক্ষেতের ঘুপচি কোণে। সখীসমীপেষু – চিঠি পৌঁছে যাবে ঠিক। মানুষ দেখার খেলাটুকু বরাবরই বেশ উপভোগ্য। খাম হাতে পাঁচ-ছ’জন। একজন সবার শেষে এসেও আগে পোস্ট করতে চাওয়ায় কথার উপর কথা, কথা দিয়ে কথা কাটা। কী ব্যস্ততা, কী তাড়া সবার।
আমি শুধু খামগুলো দেখি। গুটি গুটি হাতের লেখা, কোনটায় লেখাগুলো বড্ড এলোমেলো। কিছু হয়তো পৌঁছে যাবে কাঠখোট্টা কোন অফিসে-দফতরে। কিছু চিঠিতে বোধহয় মন আলপনা এঁকেছে। এমন অন্য কোন বৃষ্টিভেজা দিনে কেউ হয়তো আনমনে খুলে নেবে খয়েরী-হলুদ খাম।
ঘরে ফেরার তেমন তাড়া কোনকালেই থাকেনি তেমন, তবুতো ঘরেই ফেরা। স্নাঙ্ঘরে স্বয়ম্ভরের সুর। থেকে থেকে মনে অদ্ভুত গুণগুণ। দোল দোল, দোল খায় প্রিয় শিহরণ!
জানালার ওপারে মেঘ মেঘ ধোঁয়াশা। বটগাছের ওপ্র নিকষ আঁধার। ঘোর লাগা মনে ঔদাসীন্য ভর করে। আমাদের মানুষেরা বেঁচে-বর্তে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠে। আমাদের মানুষেরা আকাশের রঙ দেখতে ভুলে যায়। শুধু শূন্যতাই দেখে। আমাদের মানুষেরা বুড়িয়ে যেতে এতো ভালোবাসে ??
বৃষ্টি তবু এ শহরেও আসে। নোংরা ভাঙা শহরের বাসস্টপে, অলি=গলিতে, কলেজে-স্কুলে-ভার্সিটিতে। বৃষ্টি আসে চাচীর চায়ের ঠেলাতে, যে ঠেলার পাশে অস্থির ছেলে-মেয়ের আড্ডা বসে। বৃষ্টি আসে পথের ধারের ভাপা পিঠার উনুনের ওপর। মামা চটজলদি পিঠা উঠোয়, উনুন নেভোয়। বৃষ্টির ফোঁটা পড়তেই পথের ধারে হামাগুড়ি দেয়া উলঙ্গ শিশু ফিক করে হেসে ওঠে। ব্যবসা গুটোতে গুটোতে আয়না-চিরুণী-হাতঘড়ি বিক্রেতা বলেন- “আহ্! জব্বর বৃষ্টি আইবোরে!”
ক্ষতির যন্ত্রণাকে কষ্টকে প্রকৃতি গ্রাস করে কত সহজেই।
মেঘ খন্ড খন্ড দামাল উদ্দামতায় আকাশের একোণ থেকে ওকোণ দাপড়ে বেড়ায়। পাগল করা বাতাস ছুঁয়ে যায় সমস্তটুকু। হয়তো কিছু মানুষ ধুপ ধাপ জানালা লাগায়। কেবল কয়েকজন জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে মাতাল থেকে তীব্র মাতাল হয় ক্রমশ…
মন্তব্যসমূহ
এইসব লেখা পোড়ায়...
টুপটাপ ঝরে পড়লেই গালে মাখতাম.........'
"মনুষ্যজন্ম বড় যাতনার মা !
পাখি কিংবা গাছেদের সমাজে স্মৃতিদন্ড নেই
কিন্তু মানুষ?
ভুবন ভ্রমিয়া শেষে
ফের এসে
ঘর বাঁধে স্মৃতেশ্বরী নদীপাড়েই !" - (সুমন সুপান্থ)
"টুপটাপ ঝরে পড়লেই গালে" মাখলাম। :-)
গনগনে তাপে গলগলে পিচের থেকে রাস্তা একটু ভেজা কালোই ভালো। বিষণ্নতাই বেশি মানুষিক বুঝি, তাই বুঝি ভালো! - বেশ বলেছো তো...
গনগনে রোদে তাতানো দুপুরেও বিষণ্ন আমি আজও...
ভালো লাগলো পড়েছো দেখে... :)